Be A Pro

বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সহকারী পরিচালক পদে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

আবেদনের শেষ সময়: ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশ ব্যাংক

পদ

সহকারী পরিচালক (গবেষণা)

পদসংখ্যা

২৭টি (কম বা বেশিও হতে পারে)

বেতন

২২,০০০/- থেকে ৫৩,০৬০/- টাকা

আবেদনের শেষ সময় 

০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

[ujicountdown id=”expiring timer” expire=”2018/12/09 :59″ hide=”true” url=”” subscr=”” recurring=”” rectype=”second” repeats=””]

আবেদনের নিয়মসহ বিস্তারিত জানতে নিচের বিজ্ঞপ্তিটি দেখুনBangladesh Bank AD Job Circular 2018
সব সময় চাকরির খবরের আপডেট পেতে ক্লিক করুন এখানে।
ওয়াইএসআই বাংলা জবসে আজই আপলোড করুন আপনার সিভি। রেজিস্ট্রেশনের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাদেশ, ১৯৭২ এর মাধ্যমে ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর কার্য নির্বাহী প্রধান ‘গভর্নর’ হিসাবে আখ্যায়িত। বাংলাদেশ ব্যাংক একটি রেগুলেটরি সংস্থা এবং কার্যতঃ ‘ব্যাংকসমূহের ব্যাংক’। রাষ্ট্রের পক্ষে এটি দেশের ব্যাংকিং খাতকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দেশের মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিরূপিত হয়। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল সংরক্ষণ করে থাকে। এছাড়া এটি বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার বিনিময় হার নির্ধারণ করে। ১ টাকা, ২ টাকা এবং ৫ টাকার কাগুজে নোট ব্যতীত সকল কাগুজে নোট মুদ্রণ এবং বাজারে প্রবর্তন এই ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব। এছাড়া এটি সরকারের কোষাগারের দায়িত্বও পালন করে থাকে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় অবস্থিত স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের ঢাকা শাখাকে বাংলাদেশ ব্যাংক নাম দিয়ে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশ ব্যাংক আধ্যাদেশ ১৯৭২ পাশ হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে কার্যকর বলে ঘোষনা করা হয়। ১৯৭১ সালে মুজিব সরকার সমাজতান্ত্রিক ব্যাবস্থার আদলে অর্থনীতিকে গড়ে তোলার লক্ষে এবং যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত দেশের উন্নয়নার্থে পর্যাপ্ত তহবিল সরবরাহের উদ্দেশ্যে সকল ব্যাংককে জাতীয়করন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। জাতীয়করনের পর সকল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রন সরকারের হাতে চলে গেলে সরকার সেগুলোকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়।

ফলশ্রুতিতে ব্যাংকগুলো মাত্রাতিরীক্ত পরিমাণ তহবিল কোনপ্রকার বানিজ্যিক বিবেচনা ছাড়াই বিতরন করে এবং স্বাভাবিক ভাবেই এই ঋণগুলো সময়মত পরিশোধ হয়নি। ব্যাপক পরিমাণ অপরিশোধিত ঋন নিয়ন্ত্রনের জন্য সরকার কোনপ্রকার লোন মনিটরি পলিসিও চালু করতে ব্যার্থ হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় অধিকাংশ ব্যাংক মূলধন স্বল্পতায় পড়ে গিয়েছিল। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং ব্যাবস্থার প্রথম পূনর্গঠন শুরু করে। এই পূনর্গঠনের আওতায় ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংককে বিজাতীয়করন করে এবং তৎকালীন সরকারি ব্যাংকগুলোর সাথে সুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টির লক্ষে বেসরকারী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়। ব্যাংকিং খাতকে পূনর্গঠন, খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রন এবং বেসরকারী পর্যায়ে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা ও নিয়ন্ত্রনের লক্ষে ১৯৮৬ সালে ন্যাশনাল কমিশন অন মানি, ব্যাংকিং এন্ড ক্রেডিট নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়। এর পরেও ব্যাংকিং খাত দক্ষ ও কার্যকর হয়ে উঠতে সক্ষম হয় নি।

বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনা ৯ জন ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত একটি বোর্ডের ওপর অর্পিত আছে। বোর্ডে গভর্নর, একজন ডেপুটি গভর্নর, তিন জন উচচ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং চার জন এমন ব্যক্তি থাকেন যারা ব্যাংকিং, বাণিজ্য, ব্যবসায়, শিল্প অথবা কৃষি খাতে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন গভর্নর নিজেই। বোর্ডের সবাই সরকার দ্বারা নির্বাচিত হন। এই বোর্ডের সভা প্রতি ছয় মাসে কমপক্ষে একবার অথবা প্রতি তিন মাস অন্তর একবার বসে। সরকার দ্বারা অনুমোদিত গভর্নর বোর্ডের পক্ষে, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল কাজের দিক নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ করেন।

সুত্রঃ উইকিপিডিয়া।

You might also like