Be A Pro

সাংবাদিকতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়েই সাংবাদিকতার কোর্স রয়েছে, ফলে তা খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে না। কিন্তু যা কঠিন হবে, তা হচ্ছে এগুলোর মধ্যে সেরা বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো তা বের করা। যুক্তরাষ্ট্রে আইন অথবা ব্যবসায় শিক্ষার জন্য সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব র‍্যাংকিং থাকলেও জে-স্কুল অর্থাৎ জার্নালিজমের জন্য সেরা কলেজগুলোর আলাদা কোনো র‍্যাংকিং খুঁজে পাওয়া যাবে না।

তো কীভাবে আপনি সেরা জে-স্কুল খুঁজে বের করবেন? প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বের হওয়া গ্র্যাজুয়েটদের অর্জন দেখে নাকি অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামের কোর্স দেখে? একটি পদ্ধতি হলো ACEJMC বা Accrediting Council on Education in Journalism and Mass Communication সংগঠনটির জে-স্কুলের তালিকায় চোখ বুলানো। তবে এখানেও ঝামেলা রয়েছে, চারশোরও বেশি জে-স্কুলের নাম এই তালিকায় থাকলেও কোনো আলাদা র‍্যাংকিং করা হয়নি। আরেকটি পদ্ধতি হলো যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিগুলো সাংবাদিকতার জন্য সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোনগুলোকে বিবেচনা করে। সৌভাগ্যক্রমে এমন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেগুলোকে সবাই সেরা জে-স্কুল হিসেবে মেনে নিয়েছেন।

অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি

অ্যারিজোনার সবচেয়ে বড় মিডিয়া হাউজ অ্যারিজোনা পিবিএস (পাবলিক ব্রডকাস্টিং সিস্টেম)-এর প্রায় পুরোটুকুই পরিচালিত হয় অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির ওয়াল্টার ক্রংকাইট স্কুল অফ জার্নালিজম অ্যান্ড ম্যাস কমিউনিকেশন-এর ছাত্রদের দ্বারা, যেখানে ছাত্ররা নিজেরাই গ্র্যাজুয়েটদের সাহায্য নিয়ে টিভি ব্রডকাস্টিং কিংবা রিপোর্টিং থেকে শুরু করে সবকিছু নিজের হাতে করে থাকে। সাধারণত প্রতিটি ছাত্রদের জন্যই একজন করে প্রফেশনাল ব্যক্তি মেন্টর হিসেবে নিযুক্ত হন, এবং তার কাছ থেকেই ছাত্ররা মিডিয়া সম্পর্কিত বাস্তব জ্ঞান হাতেকলমে শিখতে পারে। এছাড়াও এখানে সাংবাদিকতার আলাদা আলাদা ক্ষেত্রের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ল্যাবরেটরি। ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের  জন্য ‘হাওয়ার্ড সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম’ কিংবা স্পোর্টস জার্নালিজমের জন্য ‘স্পোর্টস নলেজ ল্যাব’ থেকে শুরু করে ‘টেলিভিশন প্রোডাকশন অ্যান্ড গ্রাফিক্স ল্যাব’ কিংবা ‘পাবলিক রিলেশন ল্যাব’সহ আরও অনেক সুযোগ-সুবিধাই রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বিদেশি ছাত্রদের জন্য যা প্রয়োজন:

প্রায় ১৫০টিরও বেশি দেশের ছাত্ররা ক্রংকাইট স্কুলে নিজেদের নাম লিখিয়েছেন। দেশের তো বটেই, এমনকি বিশ্বের অন্যতম সেরা এই জে-স্কুলে তাই সুযোগ পাওয়াও কঠিন।

আন্ডারগ্র্যাজুয়েটদের ক্ষেত্রে ছাত্রদেরকে অবশ্যই টোয়েফল স্কোর ক্রংকাইটের চাহিদানুযায়ী হতে হবে। এছাড়াও হাই স্কুলে কমপক্ষে চার বছর ইংরেজিতে পড়াশোনার পাশাপাশি এসিটি স্কোর ২২ অথবা এসএটি স্কোর কমপক্ষে ১০৪০ ওআর থাকতে হবে।

অন্যদিকে গ্র্যাজুয়েটদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে সিজিপিএ ৪.০-এর মধ্যে ৩.০ থাকতে হবে এবং ৫ বছরের মধ্যে জিআরই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এছাড়াও টোয়েফল স্কোর হতে হবে কমপক্ষে ১০০ (ইন্টারনেট) অথবা ৬০০ (পেপার-বেজড)।

ওয়াল্টার ক্রংকাইট স্কুল অফ জার্নালিজম অ্যান্ড ম্যাস কমিউনিকেশন; Image Source: ArchDaily

ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা

ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডার কলেজ অফ জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশন -এও ছাত্রদেরকে হাতেকলমে বাস্তব জ্ঞান দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়। ছাত্রদের মেন্টর হিসেবে শিক্ষক কিংবা অ্যালামনাইদেরকে নিযুক্ত করা হয়, যেখানে ছাত্ররা খুব কাছ থেকে বাস্তব জীবনের সাংবাদিকতা শিখতে পারেন। ফ্লোরিডার সবচেয়ে বড় পাবলিক রিলেশন সংস্থা আলফা প্রোডাকশনের পুরোটুকুই  পরিচালিত হয় এই কলেজ অফ জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশনের ছাত্রদের মাধ্যমে। দেশের সবচেয়ে বড় সাতটি মিডিয়া হাউজের সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে এই কলেজ, যার মধ্যে রয়েছে পিবিএস, এনবিআর কিংবা ইএসপি-এর নাম, যেখানে ছাত্ররা ব্রডকাস্ট মিডিয়া ও ডিজিটাল মিডিয়ার সাথে সরাসরি কাজ করতে পারে। এছাড়াও ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত নিজস্ব ‘দ্য ইন্ডেপেনডেন্ট ফ্লোরিডা অ্যালিগেটর’ সংবাদপত্রিকাও রয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডায়, যেখানে কাজ করার পর তাদের পরবর্তী গন্তব্য হয় ইএসপিএন, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিংবা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের মতো মিডিয়া হাউজ।

বিদেশি ছাত্রদের জন্য যা প্রয়োজন:

৬ হাজারেরও বেশি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডায় পড়াশোনা করছেন। আন্ডারগ্র্যাজুয়েটদের জন্য মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল সনদপত্রসহ এর ইংরেজি অনুবাদকৃত সনদপত্র পাঠাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাকাডেমিক কারিকুলাম না হলে সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডেনশিয়াল ইভ্যালুয়েশন এজেন্সি থেকে তা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণের জন্য ছাত্রদেরকে টোয়েফল স্কোর কমপক্ষে ৫৫০ (পেপার-বেজড) বা ৮০ (ইন্টারনেট-বেজড) অথবা আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.০ হতে হবে। এছাড়াও নির্ধারিত বিষয়ে একটি এসে লিখে জমা দিতে হবে।

গ্র্যাজুয়েটদের ক্ষেত্রে টোয়েফল বা আইইএলটিএস ছাড়াও ভার্বাল জিআরই-তে কমপক্ষে ১৪০ পেতে হবে। প্রথম ১ বছরের খরচ বহনের সামর্থ্যের সনদপত্রও আবেদনের জন্য প্রয়োজন হবে।

ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা-এর কলেজ অফ জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশন; Image Source: Wikiwand

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি

ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েট করার পর সাংবাদিকতার ছাত্রদের জায়গা হয় দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, গুগল নিউজ, ইএসপিএন, পলিটিকো, দ্য ব্লুমসবার্গ বিজনেসউইক কিংবা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো প্রতিষ্ঠানে। স্ট্যানফোর্ডে বিট রিপোর্টিং, ডেটা ফ্রেমিং, ডিএসএলআর ভিডিওগ্রাফি এবং ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিংয়ের মতো বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়, এছাড়াও শেখানো হয় অ্যাডোবি বা ফাইনাল কাট প্রো-এর মতো সফটওয়্যার। ভার্চুয়াল রিয়ালিটি জার্নালিজমও রয়েছে এখানে। স্ট্যানফোর্ডের জার্নালিজম প্রোগ্রামে প্রযুক্তি এবং সাংবাদিকতা যেন এক হয়ে যায়। এছাড়াও ছাত্রদের কাজ করার জন্য রয়েছে নিজস্ব ‘দ্য স্ট্যানফোর্ড ডেইলি’ পত্রিকা।

বিদেশি ছাত্রদের জন্য যা প্রয়োজন:

গ্র্যাজুয়েটদের জন্য টোয়েফল স্কোর ১১৫ (ইন্টারনেট-বেজড) থাকার পাশাপাশি স্টেটমেন্ট অফ পারপাজ, ৩টি সাংবাদিকতার নমুনা, ট্রান্সক্রিপ্ট, রেজুমে এবং কমপক্ষে ৩টি রিকমেন্ডেশন লেটার আবেদন ফর্মের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। বাংলাদেশের আন্ডারগ্র্যাজুয়েটদের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিসিন প্রোগ্রাম থাকলেও কোনো জার্নালিজম প্রোগ্রাম স্ট্যানফোর্ডে নেই

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি; Image Source: Stanford Journalism

ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলাইনা, চ্যাপেল হিল

বিশ্বের প্রথম জে-স্কুল হিসেবে পরিচিত ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলাইনার স্কুল অফ মিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম সাংবাদিকতার ছাত্রদের জন্য একেবারে প্রথম সারিতেই থাকবে। ACEJMC-এর ৯টি মানদণ্ড পূরণ করার এক বিরল রেকর্ড রয়েছে তাদের। প্রযুক্তি ও সাংবাদিকতার এক অসাধারণ মিশেলে গড়া এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি জিতে নিয়েছে ডিজিটাল কমিউনিকেশনের জন্য দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে।

সাংবাদিকতাসহ অন্য যেকোনো বিষয়ে পড়তে হলে আগে ছাত্রদেরকে দুই বছর মাইনর কোর্সগুলোতে ভালো ফলাফল করতে হবে। তবেই নিজেদের পছন্দমতো মূল কোর্স করার সুযোগ পাবে আন্ডারগ্র্যাজুয়েটরা। ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত সংবাদপত্র ‘দ্য ডেইলি টার হিল’-এও হাতেখড়ি হবে শিক্ষানবিস ছাত্রদের। ডকুমেন্টারি কিংবা মাল্টিমিডিয়া স্টোরিটেলিং-এর জন্য তাদের যেতে হতে পারে সিলিকন ভ্যালি কিংবা কলম্বিয়ার মেডেলিনেও। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর তাদেরকে সরাসরি দ্য শার্লট অবজার্ভার কিংবা বিজনেস ইনসাইডারের মতো আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও সুযোগ দেওয়া হয়।

বিদেশি ছাত্রদের জন্য যা প্রয়োজন:

১০০-রও বেশি দেশ থেকে ৫ শতাধিক ছাত্র গত বছর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট হিসেবে ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলাইনাতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এজন্য প্রথমেই অনলাইনে আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর সবাইকেই একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে এসে লিখে আবেদনের সাথে জুড়ে দিতে হবে। এছাড়াও এর সাথে অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট, মাধ্যমিক স্কুল/কলেজের সনদপত্র এবং রিকমেন্ডেশন লেটার তো রয়েছেই।

ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণের জন্য টোয়েফল, আইইএলটিএস বা পিটিই-তে ন্যূনতম নির্দিষ্ট পরিমাণ স্কোর থাকতে হবে। এছাড়াও  এসএটি বা এসিটি-তেও উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদন করার পরই একজন ছাত্রকে বিস্তারিতভাবে প্রয়োজনীয় সবকিছু সম্পর্কে জানানো হবে।

স্কুল অফ মিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম, ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলাইনা, চ্যাপেল হিল; Image Source: The Daily Tar Heel

কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি

জোসেফ পুলিৎজারের হাত ধরে গড়ে ওঠা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ জার্নালিজম আইভি লিগের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটিতে সাংবাদিকতা বিষয়টি রয়েছে। এতে ৪ ধরনের ডিগ্রি দেওয়া হলেও কোনো ব্যাচেলর ডিগ্রির সুযোগ এখানে নেই। ডেটা জার্নালিজমসহ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড জার্নালিজমের জন্য এমএস ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে এখানে।

সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে সম্মানজনক পুলিৎজার পুরষ্কার ঘোষণা করা হয় কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে। ‘ন্যাশনাল ম্যাগাজিন অ্যাওয়ার্ড’, ব্রডকাস্ট ও ডিজিটাল জার্নালিজমের জন্য ‘কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাওয়ার্ড’-ও প্রদান করা হয় এখান থেকে। ডিজিটাল জার্নালিজমের জন্য ‘টো সেন্টার ফর ডিজিটাল জার্নালিজম’ এবং মিডিয়া ইনোভেশনের জন্য ‘ব্রাউন ইন্সটিটিউট ফর মিডিয়া ইনোভেশন’-এর জন্মভূমিও এখানে।

বিদেশি ছাত্রদের জন্য যা প্রয়োজন:

কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েট স্কুল অফ জার্নালিজমের টেস্ট স্কোর অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি। আবেদন করার জন্য টোয়েফলের ক্ষেত্রে ৬৫০ (পেপার-বেজড) বা ১১৪ (ইন্টারনেট-বেজড) এবং আইইএলটিএস-এর ক্ষেত্রে ৮.০ স্কোর প্রয়োজন। পরীক্ষা দেওয়ার পর দুই বছর পর্যন্ত এই ফলাফল কাজ করবে।

এছাড়াও অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সাংবাদিকতার নমুনা ইংরেজিতে পাঠাতে হবে, ইংরেজিতে না থাকলে তা ইংরেজিতে অনুবাদ করে পাঠাতে হবে। সাধারণত ইউরোপের দেশগুলোসহ ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউ জিল্যান্ড থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট করা ছাত্রদের আবেদন গ্রহণ করে গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ জার্নালিজম কর্তৃপক্ষ। তবে অন্য দেশের আবেদন গৃহীত হবে কি না তা পরীক্ষার জন্য আগে তাদের কাছে পাঠাতে হবে। বর্তমানে নেপাল এবং পাকিস্তানের ছাত্ররাও পড়াশোনা করছে।

গ্রাজুয়েট স্কুল অফ জার্নালিজম, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি; Image Source: Wikimedia Commons
ফিচার ইমেজ: Wikimedia Commons
You might also like