যে কয়টি প্রতিষ্ঠানেই কাজ করুন না কেন, নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর সবার সাথে পরিচিত হতে গিয়ে আড়ষ্টতা বোধ করেন বেশিরভাগ মানুষ। আর যদি সেটা কারো প্রথম চাকুরি হয়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই!
হ্যাঁ, একটু সমস্যা হবে প্রথমে। তবে সেই সমস্যাগুলোকে সামলে নিয়ে কী করে নতুন কর্মস্থলে সহকর্মীদের সাথে পরিচিত হবেন, মানিয়ে নেবেন নিজেকে, চলুন আজ জেনে আসি তারই কিছু কার্যকর কৌশল!
পরিচিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করুন
আপনাকে আপনার সুপারভাইজর অফিসের সবার সাথে পরিচিত করে দেননি? আপনি যে সবার সাথে পরিচিত হতে চান সেই ইচ্ছা তাকে জানান। সহকর্মীদের সাথে কথা বলুন। এতে করে কেবল সবার সাথে আপনার পরিচয়ই হবে না, বেশ স্বস্তিও অনুভব করবেন আপনি।
পর্যবেক্ষণ করুন
আপনার সুপারভাইজর আপনাকে অন্যদের সাথে পরিচিত করিয়ে দিন বা না দিন, আপনি সময় নিন। সবার সাথে পরিচিত হওয়া মানে কেবল সবার নাম জানা নয়। তাই ভালো করে চারপাশ পর্যবেক্ষণ করুন। যে মানুষগুলোর সাথে প্রতিদিন আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে তাদের সাথে কথা বলুন ও সহজ হয়ে উঠুন।
কর্মস্থলের কর্মীদের তালিকা সংগ্রহ করুন
আপনি কার সাথে প্রতিদিন বেশি যোগাযোগ করবেন, কে আপনার সিনিয়র, কার পদ কোনটি- সবকিছু জানতে আপনার অর্গানাইজেশনাল চার্ট দরকার পড়বে। এতে করে কার সাথে কীভাবে কথা বলতে হবে, কার সাথে কতটা কথা বলতে হবে সে সম্পর্কে একটা মোটামুটি ধারণা পাবেন আপনি।
প্রশ্ন করতে দ্বিধা নয়
কোনো কিছু জানতে চাইছেন? প্রশ্ন করুন। এতে করে সহকর্মীদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে। এছাড়া, নিজেও কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। সহকর্মীদের সাথে চা পান করুন, বাইরে সবাই বের হলে তাদের সঙ্গ দিন। দেখবেন, ধীরে ধীরে আপনিও আপনার অফিস এবং সহকর্মীদের অংশ হয়ে পড়েছেন।
অস্থির হবেন না
আপনার সাথে আপনার অফিসের সবচাইতে সিনিয়র মানুষটির কেন কথা হচ্ছে না? কবে সবার সাথে সম্পর্ক সহজ হবে? এই প্রশ্নগুলো হয়তো আপনার মাথায় খেলা করবে। তবে তাই বলে অস্থির হবেন না। কারণ আপনার অস্থিরতার প্রকাশ অন্যদের চোখে আপনাকে নেতিবাচক একটি স্থান করে দিতে পারে।
প্রত্যেকটি মানুষ ব্যস্ত থাকে। বিশেষ করে অফিসে প্রতিষ্ঠাতা, সিনিয়র কর্মী- তারা সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং অনেকে হয়তো সেভাবে করে জানেই না যে, জুনিয়র কেউ নিয়োগ পেয়েছে কি না। তাই তাদের ব্যাপারে মন খারাপ না করে এবং অস্থির না হয়ে অপেক্ষা করুন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৎপর থাকুন
বর্তমান সময়ে অফিসের বাইরেও সবাই নিজেদের জীবন সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কথা বলতে ভালোবাসে। যোগাযোগটা শক্ত হয়ও সেভাবেই। তাই খোঁজ নিন আপনার কর্মস্থলের সহকর্মীরা অফিসের বাইরেও কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আছেন কি না। সেখানে কোনো গ্রুপ থাকলে আপনিও যোগ দিন তাতে। পুরো ব্যাপারটাই আপনার জন্য তখন অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে।
তো, কী এত ভাবছেন? সব ভাবনা ঝেড়ে ফেলে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিন সহকর্মীদের দিকে। মনে সাহস নিয়ে কাজ করুন। দেখবেন, ব্যাপারটা ঠিক যতটা কঠিন ভেবেছিলেন, ততটা কঠিন কিন্তু নয়!
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.